শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

হিজরাদের দৌরাত্ম বন্ধে ব্যবস্থা নিতে  আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ বাণিজ্যমন্ত্রীর

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৫ জুলাই, ২০১৮
  • ৩৭৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ 

হিজরাদের জোর করে টাকা আদায় এবং দৌরাত্ব বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে দুইজন সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের অনুপস্থিতিতে তাঁর পক্ষে সংসদে প্রশ্নের উত্তর দেন তোফায়েল আহমেদ। সংরক্ষিত আসনের সদস্য নুর জাহান বেগম তাঁর প্রশ্ন উত্থাপনকালে বলেন, রাস্তায়, যানবাহনে হিজরা জোর করে মানুষের কাছে টাকা দাবি করে। তারা মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করে। তাদের এই দৌরাত্ব বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা?

জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সমাজে যে সব অসহায় মানুষ যারা আছেন তাদের সাহয্যের জন্য, পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। হিজরাদের জন্যও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। রাস্তায় হিজরারা টাকা দাবি করে এটা আমার জানা নেই। তবে হিজরারাও মানুষ, তাদের সহযোগিতার জন্য আমাদের সবাইকে হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে দেখতে হবে তাদের এলাকায় কোনো হিজরা পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকলে তাদেরকে কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা।

এর পরই আরেক সম্পূরক প্রশ্ন করেন কবি কাজী রোজি। হিজরাদের দৌরাত্বের কথা উল্লেখ করে কাজী রোজি বলেন, হিজরা রাস্তায়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা দাবি করে, কেউ দিতে না পারলে তারা নানা ধরনের হুমকি দেয়। একবার রাস্তায় আমি এক হিজরাদের টাকা দিতে না চাইলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এ সময় মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে বলব ব্যবস্থা নিতে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে বলব এ ধরনের ঘটনা থেকে হিজরাদের বিরত রাখার জন্য যেন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সংরক্ষিত আসনের আরেক সদস্য ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ জানান, হিজরাদের মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য সরকারের পরিকল্পনা আছে। সে অনুয়ায়ী পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হলে আবার অনেকে চলে যায়। তারা যাতে চলে না যায় সেজন্য কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা উচিত।

সংসদ সদস্য বেগম আখতার জাহানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় সারা দেশে শান্তি নিবাস (বৃদ্ধাশ্রম) এর সংখ্যা ৬টি। এগুলো রয়েছে ঢাকার ফরিদপুরে, খুলনার বাগেরহাটে, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী জেলায়। ৬টি শান্তি নিবাসের প্রতিটিতে ৫০ জন করে সর্বমোট ৩০০ জন প্রবীণ ব্যক্তির থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451