আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মোট তিনটি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ। খবর বিবিসির।
মঙ্গলবার নাজিবকে গ্রেফতারের পর আজ বুধবার সকালে কুয়ালালামপুর হাইকোর্টে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে তার ২০ বছরের জেল হতে পারে।
ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ তহবিল ‘ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ (ওয়ানএমডিবি)’-এর অর্থ আত্মসাৎ করে ৭০ কোটি ডলার নিজ ব্যাংক হিসাবে জমা করেছিলেন। তবে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে মালয়েশিয়াকে শীর্ষ অর্থনীতির দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে নাজিবই ২০০৯ সালে ওয়ানএমডিবি তহবিল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। কিন্তু ২০১৫ সালে ওই তহবিলের ৭০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এর পর যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশে ওই অর্থ পাচারের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়।
তবে নাজিব প্রধানমন্ত্রী থাকায় ওই অভিযোগকে ধামাচাপা দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। মালয়েশিয়ার আদালত তাকে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ থেকে তখন মুক্তি দিয়েছিলেন। কিন্তু চলতি বছর ৯ মের জাতীয় নির্বাচনে নাজিব পরাজিত হন এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মাহাথির মোহাম্মদ ক্ষমতায় এসে ফের ওই দুর্নীতি তদন্তের নির্দেশ দেন। এর পরই নাজিবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি ডলার অনুদান সরানোর অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়। ওই দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা টাস্কফোর্সের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার বিকেলে নাজিব রাজাককে তার কুয়ালালামপুরের বাসা থেকে গ্রেফতার করেন।
সম্প্র্রতি মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন বিভাগের কর্মকর্তারা নাজিব রাজাকের বাসায় কয়েক দফা তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ও বিলাস পণ্য জব্দ করেন। সে সময় তার দেশত্যাগের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে ২২ মে নাজিবকে প্রথমবারের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তারা। তার স্ত্রী রোসমাহ মানসুরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা।