আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে জালালাবাদ শহরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই দেশটির সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের সদস্য।
আজ সোমবার বিবিসি জানিয়েছে, নঙ্গরহর প্রদেশে দুদিনের সফরে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গাড়িবহর নিয়ে যাচ্ছিলেন শিখ সম্প্রদায়ের লোকজন।
নিহতদের মধ্যে আগামী অক্টোবরে পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী একমাত্র শিখ প্রার্থী আওতার সিং ছিলেন বলে জানা গেছে।
ইসলামিক স্টেট (আইএস) নিজেদের সংবাদ সংস্থা আমাক-এর মাধ্যমে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। যদিও হামলার পক্ষে তারা কোনো প্রমাণ দেয়নি।
হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই প্রেসিডেন্ট ঘানি জালালাবাদে একটি হাসপাতাল উদ্বোধন করেছেন। তবে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনার সময় তিনি সে এলাকায় অবস্থান করছিলেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কাবুলে ভারতীয় দূতাবাস এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
আগামী ২০ অক্টোবরের নির্বাচনে একমাত্র শিখ প্রার্থী আওতার সিং খলসা নিহতদের মধ্যে একজন বলে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় দূতাবাস।
এক টুইট বার্তায় দূতাবাস জানায়, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের সম্মিলিত লড়াই প্রয়োজন, এ হামলা সে কথাই স্মরণ করায়। যারা কোনো না কোনোভাবে সন্ত্রাসীদের সমর্থন দেয়, তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা দরকার।
নঙ্গরহরের স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিচালক নাজিবুল্লাহ কামাওয়াল বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, নিহতদের ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন শিখ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক। এর বাইরেও ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মুসলিম অধ্যুষিত আফগানিস্তানে কিছু সংখ্যক শিখ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করেন। ক্রমবর্ধমান নিপীড়ন ও হুমকির মুখে বেশির ভাগই ভারতে চলে গেছেন।