মোঃ নাজিম উদ্দিন, জেলা প্রতিনিধি, গাজীপুর।
গাজীপুর জেলায় মোট ৬টি থানা, এগুলো হলো, শ্রীপুর, কাপাসিয়া, গাজীপুর সদর, টঙ্গী, কালিয়াকৈর ও কালিগঞ্জ। তার মধ্যে ৩টি পৌরসভা ও ১টি সিটি কর্পোরেশন ও বাকী সব ইউনিয়ন পরিষদ। কিন্তু প্রায় প্রত্যেক উপজেলায় অধিকাংশ ঔষধের ফার্মেসীতে ড্রাগ লাইসেন্স ও ট্রেড লাইসেন্স নেই। ড্রাগ লাইসেন্স প্রদত্ত কর্তৃপক্ষের নিয়মানুযায়ী ঔষধের ফার্মেসীতে টেস্টি স্যালাইন সহ অন্যান্য খাবার জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করতে পারবে না। কিন্তু এই অসাধু সুবিধা ভোগী ব্যবসায়ীরা নিজের স্বার্থ্যের জন্য এসব ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এক দিকে যেমন সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে অন্য দিকে অদক্ষ, অজানা ও অল্প শিক্ষিত ঔষধ ব্যবসায়ীর নিকট থেকে অনেকে ঔষধ কিনে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক ফার্মেসীতে বিদেশী ঔষধ, সরকারী জন্ম বিরতি করন পিল, কনডম, ইনজেকশন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করে। তাতে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। এসব সরকারী ঔষধ কোথায় থেকে আসে তা ক্ষতিয়ে দেখার প্রয়োজন নয় কি? মুদি দোকানি সহ অন্যান্য স্থায়ী ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ দোকানে ট্রেড লাইসেন্স নেই। পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র, চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড কমিশনার ও মেম্বার সাহেবগণ স্ব-স্ব এলাকায় সতর্ক নোটিশ ও বিভিন্ন প্রচারের মাধ্যমে জানানো হলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে না। মুদি দোকানিরা বিশেষ করে রুটি, বিস্কুট, চানাচুর, কেক, বাটার ভন্ড ও পেডিস সহ এই জাতীয় খাদ্য দ্রব্য প্রায় অধিকাংশ প্যাকেটেই উৎপাদনের তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ কোন কিছু লেখা নেই। এসব খাবার খেয়ে অনেকেই ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। মুদির দোকানিরা ঔষধ ও মুদি মালামাল একই দোকানে বিক্রি করে। উপজেলার খাদ্য কর্মকর্তা মহোদয়গণ এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারী করলে এই জটিল সমস্যা অনেকাংশে কমে আসবে। সচেতন জনসাধারণ মনে করেন জেলা ও উপজেলা প্রসাশন এই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। যার ফলে সরকার পাবে রাজস্ব ও জনগণ পাবে স্বাস্থ্য ও মান সম্মত ঔষধ