গাইবান্ধা থেকে শেখ হুমায়ুন হক্কানী ঃ গাইবান্ধার সকল নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। কিন্তু জেলার বন্যা কবলিত ৪টি উপজেলার বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। এদিকে ফুলছড়ি উপজেলার সকল সড়ক বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকায় এবং বাঁধ ও ৬টি ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে ওই উপজেলা সদর, সকল ইউনিয়ন ও জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকাই সেখানে চলাচলের একমাত্র বাহন।
জেলা প্রশাসন সুত্র জানায়, বন্যা কবলিত সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়নের ২৩৪টি গ্রাম বন্যা কবলিত অবস্থায় রয়েছে। ওই ৪ উপজেলার ৯৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১১ হাজার ৪১৭ জন আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বাঁধ এবং উঁচু এলাকায় আরও বিপুল সংখ্যক মানুষ উঠেছে। এ পর্যন্ত বন্যার্তদের জন্য ৫১ লাখ টাকা ও ১ হাজার ১শ’ ৫০ মে. টন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের কাজ চলছে।
এছাড়া বন্যা দুর্গত এলাকায় ৩ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমির রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত অবস্থায় থাকায় সেগুলো এখন বিনষ্ট হওয়ার পথে। এছাড়া ১শ’ ৮৯ কি.মি. কাঁচা রাস্তা, ২৯ কি.মি. পাকা রাস্তা, ৪শ’ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ধসে গেছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ পানির জন্য ২১টি নলকুপ ও ৬৪টি ল্যাট্রিন স্থাপন করা হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় চর্ম রোগ দেখা দিয়েছে। ৬৫টি মেডিকেল টিম বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করছে।