বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ন

গুলশানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণে বিএনপির শোকসভা

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০১৬
  • ২৬১ বার পড়া হয়েছে

মো:নুরুজজামান,থানা প্রতিনিধি,ঢাকা:
সরকারের দুই মন্ত্রী মেনন-ইনুর জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘সরকারের এই দুই মন্ত্রী যদি বিএনপিকে ‘না বকে’ ভালো ব্ক্তব্য দিতে পারে তবে তাদের পুরস্কার দেবো। পুরস্কার হিসেবে এই দুই মন্ত্রীকে ঢাকা-আমেরিকার ফ্লাইটের টিকিট ফ্রি দেবো।’ মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত শোকসভায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর উদ্দেশ্যে এ ঘোষণা দেন মির্জা আব্বাস। গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলায় নিহত দেশি-বিদেশি নাগরিকদের স্মরণে এ শোকসভার আয়োজন করা হয়। মির্জা আব্বাস বলেন, ‘মেনন-ইনু রাজনীতিই করেন মন্ত্রী হওয়ার জন্য। সেজন্য যত পারেন বিএনপিকে গালিগালাজ করে প্রধানমন্ত্রীকে খুশি রাখেন। উনাদের মুখটাই তৈরি হয়েছে বিএনপিকে গালিগালাজের জন্য।’ গতকাল সোমবার (১১ জুলাই) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১৪ দলের জঙ্গিবিরোধী প্রতিরোধ সমাবেশের কথা উল্লেখ করে আব্বাস বলেন, ‘জঙ্গিবাদবিরোধী প্রতিরোধ প্রতিরোধ সমাবেশে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা যে ভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন, বিশেষত মেনন-ইনুর বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে- সুযোগ থাকলে বিএনপিকে তারা এখনই চিবিয়ে খেতো।’ জাসদ সভাপতি হাসানুল হক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং বাংলাদেশে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে দেশের রাজনীতিতে সুবিধাবাদী সুযোগ সন্ধানী উল্লেখ করে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা বলেন, ‘তারা এমন কাজে অভ্যস্ত। কারণ তাদের ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অভিজ্ঞতা আছে।’ গুলশান হামলার ঘটনায় দেশি-বিদেশি নিহত হওয়া দুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে নিহতের প্রতি গভীর শোক এবং সমবেদনা জানান মির্জা আব্বাস। এ ঘটনায় বিএনপির দায়িত্বশীল ভূমিকার কথা স্পষ্ট করে তিনি বলেন, ‘হামলার ঘটনার পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন, প্রেস ব্রিফিং করেছেন, জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাননি।’ গুলশান হামলার ঘটনা নিয়ে সরকার এবং আওয়ামী জোটের অবস্থানের সমালোচনা করেন মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি টিভি দেখিই না, তারপর চোখের সামনে পড়ে গেছিলো। কাল দেখলাম। জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য দিতে গিয়ে সরকারের এক মহিলা মন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতকে দোষারোপ করে বক্তব্য দিয়েছেন।’ বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক বা সামাজিক সংগঠনগুলোর অনুষ্ঠানে দেখা যায় বক্তার পেছনে সংশ্লিষ্টদের ভিড় থাকে। এতে অনেকের কাছে অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে এমন মনে হলেও যারা দাঁড়ান তারা মূলত ওই বক্তার সঙ্গে তাদের ছবিও মিডিয়াতে প্রচার হবে এ মানসিকতা থেকেই দাঁড়ান। আজও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। এক পর্যায়ে দর্শক সারিতে বসা নেতাকর্মীরা এর জোরালো প্রতিবাদ জানান। এর পর কিছুক্ষণের জন্য বক্তার পেছনে দাঁড়ানো নেতাকর্মীরা সরে দাঁড়ান। বক্তার পেছনে দাঁড়ানো আর দর্শক সারিতে নেতাকর্মীর প্রতিবাদ যখন জোরালো হয় তখন পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য মির্জা আব্বাস বার বার নেতাকমীদের আহ্বান জানান। বলেন, ‘সব ফাজিলগুলো চলে আসছে’। ‘দেখলেন তো, জনগণ যখন জেগে ওঠে তখন আর কিছু লাগে না। বক্তাদের পেছনে দাঁড়ানো যেন একটা অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনারা প্রতিবাদ করছেন চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।’ মির্জা আব্বাসের এই বক্তব্য চলাকালে তখনো তার কিছু নেতাকর্মী দাঁড়িয়েছিলেন। দর্শক সারি থেকে তখন কেউ কেউ বলেন, ‘না এখনও পেছন থেকে যায়নি।’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাছা স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব মাহাবুব উদ্দিন খোকন, মজিবর রহমান সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাখাওয়াত হাসান জীবন, বিলকিস জাহান শিরিন, আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451