নোয়াখালী : সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে সভা ও মিছিলকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর হাতিয়ায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে হাতিয়া থানার ওসি, এক এসআইসহ ২০ জন আহত হন।
আজ রোববার উপজেলার ওছখালী এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুই সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী ও অধ্যাপক মোহাম্মদ অলি উল্যাহর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয়রা জানান, পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রোববার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে জনসচেতনতা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঈদ পুণর্মিলনী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। হাতিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক অলি উল্যাহ। সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী ও তার সমর্থকরা এ সভা মেনে নিতে পারেননি। আলোচনা শুরুর পর পরই মিছিলে মোহাম্মদ আলীর সমর্থকরা অতর্কিতে সভায় হামলা ও গুলি বর্ষণ করে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাসনাত মো. মঈন উদ্দিন এবং হাতিয়া থানার ওসি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছা মাত্র মোহাম্মদ আলীর সমর্থকরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় হামলাকারীদের ইটের আঘাতে ওসি এটিএম আরিচুল হক, দারোগা জাহাঙ্গীরসহ ২০ জন আহত হন।
হাতিয়া পৌর মেয়র একেএম ইউছুফ আলী বলেন, ৩-৪ দিন আগে স্থানীয় আফাজিয়া বাজারে অলি উল্যাহর লোকজন বর্তমান এমপি আয়েশা ফেরদৌস ও তার স্বামী সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে অশালীন সেøাগান দেয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ অলি উল্যাহ ও তার সমর্থকদের প্রতিহত করেছে।
নোয়াখালী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।