রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

ঝিনাইদহ শহরে সোলাইমান হোসেন বিপ্লব (৪০) নামে এক ঠিকাদারের আত্মহত্যা

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০১৬
  • ৩৭২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ শহরের হামদহ কালীমন্দির পাড়ায় সোলাইমান হোসেন বিপ্লব (৪০)

নামে এক ঠিকাদার তার নিজ অফিসে আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার

দুপুরে পুলিশ তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের তদন্তের জন্য হাসপাতাল

মর্গে পাঠায় সোলাইমান বিপ্লব শহরের কাঞ্চনপুর পাড়ার মুন্সি সিরাজুল

ইসলামের ছেলে।

মৃত্যুর আগে বিপ্লব নিজ অফিসের দেয়ালে সুইসাইডাল নোট লিখে

গেছেন। তাতে লেখা আছে ‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আবু তালেব,

প্রোপাইটার ইমন এন্টারপ্রাইজ, কুটুম কমিউনিটি সেন্টারের মালিক

এবং মনি (আজিজ ডা. ছেলে)।

আমি তালেবের লাইসেন্সে যশোর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি তৈরির কাজ করি।

তাদের নিজ স্বাক্ষর করা খরচ বাদ দিয়ে আমার পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য

বারবার তাদের দুয়ারে ধরণা দেই। কিন্তু একটা বিল থেকে আমাকে কোনো

টাকা দেয়নি বরং তালেব মনিকে দিয়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এই

বলে যে, ‘তোর লাশও খুঁজে পাওয়া যাবে না…।’

এভাবে মৃত্যুর কারণ লিখে আত্মহত্যা করেন ঠিকাদার সোলায়মান হোসেন

বিপ্লব। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর

রহমান জানান, দুপুরে এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে বিপ্লবের ঝুলন্ত

লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো

হয়। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান,

মৃত্যুর আগে বিপ্লব তার অফিসের দেয়ালে কালি দিয়ে কুটুম

কমিউনিটি সেন্টারের মালিক আবু তালেব ও ডা. আজিজের ছেলে মনির

নাম উল্লেখ করেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিপ্লবের ভাই শামিম হায়দার রিংকু বলেন, ব্যবসা করতে গিয়ে সে অনেক

লস খেয়েছে।

বিপ্লবের সর্বক্ষনের সাথী সুমন জানান, ঠিকাদারী করতে গিয়ে বিপ্লব

অনেক ঋনে জড়িয়ে পড়েন। ইসলামী ব্যাংকেও তার অনেক ঋন রয়েছে। মানুষের

কাছে বিপ্লবও অনেক টাকা পাবেন, কিšু‘ তারা পাওয়ানা টাকা না দিয়ে

উল্টো হুমকী দিত। দায় দেনায় জর্জরিত বিপ্লব হতাশা থেকেই মুলত

আত্মহত্যা করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451