বিশেষ রিপোর্টঃ
সোনালী ইলিশ মাছ দেশের সম্পদ, আর সেই ইলিশের বাচ্চা পোঁনা ইলিশ (জাটকা) মজুদ
রাখা ও ক্রয়-বিক্রয় করা সরকারি ভাবে নিষেধ থাকলেও যেখানে সেখানে বাজারে অবাধে বিক্রি
করছে একটি চক্র। সরকার জানিয়ে দিয়েছেন, ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ৩০ জুন
পর্যন্ত ৮ মাসব্যাপী সারা দেশে জাটকা ধরা, পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ রাখা আইনত দ-নীয়
অপরাধ।
প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, সোনালী ইলিশ জাটকা অভিযান চলবে এই ৮ মাস ধরে। আইন
অমান্যকারীকে ১ থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদ- অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত
জরিমানা অথবা উভয়দ-ে দ-িত করার বিধান রয়েছে। মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, সোনালী
ইলিশ দেশের সম্পদ আর এই সম্পদ আপনার আমার সকলেরই। এই সম্পদ নষ্ট করার অধিকার কারো
নেই। বাংলাদেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন। আপনারা আমাদেরকে সহযোগিতা করুন,
যেসকল মৎস্য ব্যবসায়ী জাটকা ক্রয়-বিক্রয় করছেন তাদেরকে ধরে দিন।
জানা গেছে, গত ২০ বছরেও এতো ইলিশ মাছ হাট-বাজারে দেখা যায়নি, যা এখনও মানুষের
চাহিদা পুরুন করেও বিদেশে রপ্তানি করা যাচ্ছে বলে মৎস্য কর্মকর্তাদের দাবি। বিভিন্ন হাট-
বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় এখনও এক কেজি ওজনের সোনালী ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে
মাত্র এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকায়। যা আগের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ দাম। হাট-বাজারের
ক্রেতারা অনেকেই বলছেন, গত ২০ বছরেও এতো ইলিশ মাছ দেখা যায়নি, যা এখনও বাজারে
চোখে পড়ার মতো দেখা যায়। জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে সরেজমিনে গিয়ে ঢাকার
আব্দুল্লাপুর, উত্তরা, মিরপুর, সাভার, ধামরাই, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন বাজারে দেখা যাচ্ছে
অবাধে জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।
সোমবার ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার বাইপাইল নতুন মৎস্য আড়ৎ সরেজমিনে দেখা
যায়, ইলিশের জাটকা প্রায় কয়েক মন বিক্রি করা হয়েছে। মৎস্য ব্যবসায়ীরা একজন অন্যজনের
দায় দিয়ে বলেন, সবাইতো জাটকা বিক্রি করছে! প্রশাসন জানে বাইপাইল মৎস্য আড়তে
জাটকা বিক্রি হয়। এ বিষয়ে সাভারের আশুলিয়ার প্রশাসন কর্মকর্তা, বিকাশ বিশ্বাস বলেন,
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মৎস্য কর্মকর্তাসহ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।