অনলাইন ডেস্কঃ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রোগীর স্বজনরা ভাঙচুর চালিয়েছে এমন অভিযোগে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা জরুরি বিভাগের দরজা বন্ধ করে দেন। এর ফলে রোগীরা ওই সময়ে আর চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ঢুকতে পারেননি।
আজ শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ইন্টার্নদের অভিযোগ, রোগীর স্বজনের হামলায় একটি দরজার কাচ ভেঙে তাঁদের এক সহকর্মীর হাত কেটে যায়। এর পরই পৌনে ১০টার দিকে হাসপাতালের অন্য ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জরুরি বিভাগের গেট বন্ধ করে দিয়ে ভেতরে অবস্থান নেন।
এ সময় হাসপাতালের বাইরে কোনো রোগী জরুরি বিভাগে ঢুকতে পারেননি। রাত পৌনে ১১টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পর চিকিৎসকরা জরুরি বিভাগের গেট খুলে দেন। তারপর রোগীরা জরুরি বিভাগে প্রবেশ করতে পারেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের ২০৫ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে এক শিশু রোগীর স্বজনরা ভিড় করছিলেন। এ সময় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাঁদের বের করে দিয়ে দরজা লাগিয়ে দেন। তখন রোগীর স্বজনরা লাথি দিয়ে দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন।
একপর্যায়ে দরজার কাচ ভেঙে এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের হাতে লেগে হাত কেটে যায়। এ খবরে হাসপাতালের অন্য ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জরুরি বিভাগসহ অন্যান্য গেট বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান নেন।
রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা প্রায় এক ঘণ্টা ভেতরে অবস্থান নিয়েছিলেন। এ সময় গেট বন্ধ থাকায় রোগীরা হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি। পৌনে ১১টার একটু আগে ইন্টার্নরা গেট খুলে দেন।