অনলাইন ডেস্কঃ
সুন্দরবনের প্রজননকেন্দ্র থেকে ৪৩টি কুমীর ছানা চুরি গেছে। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা দুই কর্মীর সহযোগিতায় বাচ্চাগুলো চুরি হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এমনটাই দাবি করছেন, বন বিভাগের কর্মকর্তারা। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
বন বিভাগের কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, গেলো ২৯ জানুয়ারি কুমীর ছানা চুরির ঘটনা প্রথম আমাদের নজরে আসে। করমজালের প্রজনন কেন্দ্রের চৌবাচ্চায় কাজ করা এক কর্মী দেখতে পায়, কুমীরের ছানা কম আছে। সন্দেহ হলে সে গুনে দেখে আগেরে চেয়ে বাচ্চা কম আছে।
তিনি বলেন, প্রথমে আমারা ধারণা করেছিলাম, হয়তো কোন বন্যপ্রাণী এসে কুমীরের বাচ্চাগুলোকে খেয়ে ফেলেছে। তাই রাতের টহল জোরদার করা হয়। কিন্তু দেখা যায়, দফায় দফায় ছানা কমতে থাকে। এভাবে ৪৩টি কুমীর ছানা লাপাত্তা হয়ে যায়।
সাইদুল বলেন, করমজলে বন বিভাগের প্রজনন কেন্দ্রে কুমীর এবং হরিণের প্রজনন ঘটানো হয়। পরে নতুন বাচ্চাগুলো সুন্দরবনেই ছেড়ে দেয়া হয়। যে বাচ্চাগুলো চুরি হয়েছে সেগুলো ৬ মাস বয়সের। আকারে আট থেকে দশ ইঞ্চি লম্বা। বাচ্চা ছোট হলেও হাতে ধরতে গেলে কামড় খাওয়ার আশংকা থাকে। কিন্তু কীভাবে এতগুলো নিয়ে যাওয়া হলো তা জানিনা।
চুরি যাওয়া কুমীর ছানার মধ্যে ৬টি মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। আর তিনটির কঙ্কাল পাওয়া যায়। বাকি বাচ্ছাগুলোর কোন হদিস এখনো মেলেনি।