নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পাবই এলাকার একটি
অনুমোদনবিহীন পাথরের মিলে বিষা৩ ক ̈ামিকেল মিশ্রিত পাইডারে পর্যায়μমে
সাত শ্রমিকের মৃতু ̈ হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষা৩ ক ̈ামিকেলের
কারনে পর্যাμমে মৃতু ̈র ঘটনাকে কেন্দধ করে আশ্লপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-
শিক্ষার্থীসহ ̄’ানীয় বাসিন্দারের মাঝে চরম আত১⁄৪ বিরাজ করছে। অনুমোদনবিহীন
পাথর মিলটি বন্ধের দাবিতে ̄’ানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। শনিবার
সকালে বিষা৩ ক ̈ামিকেল মিশ্রিত পাউডারে অসু ̄’ ̈ রমজান মোল্লা নামে এক
শ্রমিকের মৃতু ̈ হলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ̄’ানীয় বাসিন্দারা।
̄’ানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত ৭ বছর আগে পাবই এলাকায় অনুমোদনবিহীন
এসপি পাওয়ার নামে একটি পাথরের মিল ̄’াপন করা হয়। ওই মিলে ক ̈ামিকেলের মাধ ̈মে
পাথর ̧ড়ো করে পাউডার তৈরি করা হয়। ওই মিলে প্রায় শতাধীক শ্রমিক কাজ করেন।
এর মধে ̈ বেশির ভাগ শ্রমিকই ̄’ানীয় বাসিন্দা।
পাথর থেকে ̧ড়ো করে তৈরি করা ক ̈ামিকেল মিশ্রিত পাউডার মিলের আশ্লপাশের
এলাকায় ছড়িয়ে পরিবেশ ধ্বংশের দিকে চলে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার ফলজ গাছ মরে
যাচ্ছে। ̄’ানীয় বাসিন্দারা বিভিন্ন রোগে আμান্ত হয়ে পড়ছেন। মিল মালিক নবী
হোসেন ̄’ানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ̄’ানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করার
সাহসটুকুও পায়না। আর প্রতিবাদ করলে মামলাহামলাসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি
করা হয়ে থাকে।
অভিযোগ রয়েছে, এ পর্যন্ত বিষা৩ ক ̈ামিকেলে অসু ̄’ ̈ হয়ে সাত শ্রমিককের মৃতু ̈
হয়েছে। এদের মধে ̈, উপজেলার পাবই এলাকার আব্দুর রশিদ মোল্লার ছেলে রমজান মোল্লা
(৩৬), মৃত আক্কাস আলীর ঝেলে তাহাজ উদ্দিন (৩৩), মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে বশির
উদ্দিন (২৮), সিরাজুল ইসলামের ছেলে মনির হোসেন (৩২), মোন্তাজ উদ্দিনের ছেলে
ইউনুছ আলী (৩৮), নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার মর্জাল এলাকার ফরিদ মিয়া (৩৩)
এর নাম জানা গেছে। এছাড়া বর্তমানে অসু ̄’ ̈ অব ̄’ায় মৃতু ̈র স১ে⁄২ পাঞ্জা
লড়ছেন, পাবই এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে রমিজ উদ্দিন (২৫) ও বিল্লাল হোসেনের
ছেলে শাহ আলম (৩০)।
ক্ষতিগ্র ̄’ ̈ পরিবারের সদস ̈রা জানান, অধিক বেতনভাতার প্রলোভন দেখিয়ে ̄’ানীয়
যুবকদের শ্রমিক হিসেবে যোগদান করানো হয়। সেখানে ক ̈ামিকেল মিশ্রিত
পাথরের পাউডার নাকেমুখে দিয়ে প্রবেশ করে শ্রমিকরা আে ̄Í আে ̄Í শ্বাসকষ্ট
রোগে আμান্ত হয়ে অসু ̄’ ̈ হয়ে পড়ে। পড়ে ধীরে ধীরে মৃতু ̈র কোলে ঢলে পড়ে।
অসু ̄’ ̈ শ্রমিকদের কোন প্রকার আর্থিক সহযোগিতা করা হয় না। এছাড়া
অসু ̄’ ̈ হয়ে মারা যাওয়া শ্রমিকদের পরিবারকেও সহযোগিতা করা হয়না।
̄’ানীয় সাংবাদিকরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও সরকারী অনুমোদন পত্র দেখতে চাইলে
মিল ম ̈ানেজার শাহ আলম এসবের কিছুই দেখাতে পারেননি। শ্রমিকদের
অসাবধানতার কারনে অসু ̄’ ̈ হয়ে মৃতু ̈র ঘটনা ঘটেছে। সাবধানতা অবলম্বন করলে
অসু ̄’ ̈ বা মৃতু ̈র ঘটনা ঘটতো না।
এ ব ̈পারে উপজেলা ̄^া ̄’ ̈ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জাহিদ বলেন,
ক ̈ামিকেল মিশিধত পাউডার শ্বাসণালীতে গিয়ে নিউমোকোনিয়াসিস নামে
রোগে আμান্ত হয়ে মৃতু ̈ হতে পারে। হয়তো ওই শ্রমিকরা এ রোগে আμান্ত হয়েই
মারা গেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইসলাম বলেন, এ ধরনের ঘটনার
বিষয়ে সবেমাত্র জানলাম। ওই মিলের পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও সরকারী অনুমোদন পত্র
আছে কি না তা যাচাই করা হবে। না থাকলে বিধি মোতাবেক ব ̈ব ̄’া গ্রহন করা
হবে।