উচ্চ আদালতের এ নির্দেশনায় স্বস্তি ফিরেছে শিশু শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের মাঝেও। এ ধরণের অতিরিক্ত ব্যাগ বহন করার কারণে শিশুরা মারাত্মক সব শারীরিক সমস্যার ভুগছে বলে জানিয়েছেন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞরা।
আর শিক্ষাবিদদের মতে, আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন যথাযথ নজরদারি।
স্কুল ব্যাগ নয়, যেনো একেকটি বোঝা। যা দিনের পর দিন বহন করে চলেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। আর এ বোঝা বহন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের গিয়ে শিক্ষার্থীদের কতটা যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় তা ফুটে উঠেছে তাদেরই কথায়।
একজন শিক্ষার্থী জানান, বয়সের তুলনায় এতোগুলো বইয়ের ভার বহন করা তার পক্ষে অনেক কষ্টকর। তাই আদালতের এ রায় শিক্ষার্থীদের পক্ষেই গেছে।
এ ধরণের অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগ বহনের কারণে শিশুরাও মারাত্মক সব শারীরিক সমস্যায় ভুগছে।
এ অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থীদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে গত বছরের ৯ আগস্ট তিন জন আইনজীবী উচ্চ আদালতে রিট করেন। দীর্ঘ শুনানির পরে স্কুল ব্যাগ বহন করা শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি বলে উল্লেখ করা হয়। আদালতের এ রায়কে সাধুবাদ জানিয়ে তা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়রে নজরদারী প্রয়োজন বলে মনে করেন গণস্বাক্ষর অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।
উচ্চ আদালতের এ রায়ে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে অভিভাবকদের মাঝে। বর্তমানে একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন অন্তত আটটি বিষয়ের ওপর ক্লাস করতে হয়। প্রতিটি বিষয়ের একাধিক বই সিলেবাসভুক্ত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
আদালতের নির্দেশে এ রায় বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।