মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দেশের যুবসমাজকে বিরত থেকে নিজেদের কর্মশক্তি কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুবসমাজকে দেশের প্রাণ এবং উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার চালিকাশক্তি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় যুব দিবস-২০১৬ উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘আত্মীকর্মী যুবশক্তি, টেকসই উন্নয়নের মূলভিত্তি’ এই প্রতিপাদ্যে এ বছর জাতীয় যুব দিবস পালিত হচ্ছে।
নিজের বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে যুবসমাজের কর্মক্ষমতা, দক্ষতা, মেধা ও মনন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না আমাদের দেশের যুবসমাজ বিপথে চলে যাক আর বাবা-মায়ের জন্য দুঃখের কারণ ঘটাক। যেমন : মাদকাসক্তি, সন্ত্রাস, উগ্রপন্থা, জঙ্গিবাদ। এসব থেকে যুবসমাজকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এই পথ মানুষকে সুস্থ পথে নিয়ে যায় না। আর এ পথ ওই বেহেশত আর স্বর্গেও নিয়ে যাবে না। আর বেহেশতে নিয়ে হুরপরিও দেবে না। কাজেই আজকে যারা ধর্মের নামে উন্মাদনা সৃষ্টি করে মানুষ হত্যা করে, তাদের স্থান কখনো বেহেশতে হবে না, দোজখেই হবে।’
যুব উন্নয়নে তাঁর সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, বিনা জামানতে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন দেওয়া হচ্ছে, সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থানের। তাই তাঁর আহ্বান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেউ যাতে বিদেশে না যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারো কথায় প্ররোচিত হয়ে নিজের জীবনকে যেন কোনো ঝুঁকিতে না ফেলে কেউ। সেটাই আমরা চাই। আর দেশের ভেতরেই তো ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছি। আজকে সকল খাত আমরা বেসরকারি করে দিয়েছি। বেসরকারি খাতে ব্যাংক-বিমা থেকে শুরু করে এই যে টেলিভিশন…প্রতিটি ক্ষেত্রে।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ জনকে জাতীয় যুব পুরস্কারে ভূষিত করেন। পরে দেশের অগ্রগতি বিশেষ করে যুবসমাজের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হয়।