বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০২:২২ পূর্বাহ্ন

শিশুদের সুরক্ষায় হেলপলাইন’র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৬
  • ১৫২ বার পড়া হয়েছে

শিশুদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবারই প্রথম- দেশে চালু হলো চাইল্ড হেল্পলাইন। শিশুদের ২৪ ঘণ্টা সহায়তা দিতে ইউনিসেফ এর সহায়তায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় প্রকল্পটি- ভিডিও কনফারেন্স করে উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- কেউ এ সুবিধার অপব্যবহার করলে নেয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।

এরপর, গণভবনে ওই অনুষ্ঠান থেকেই উদ্বোধন করা হয় মংলায় ৫০ হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন অত্যাধুনিক সাইলো এবং মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-চ্যানেল উন্মুক্তকরণ কার্যক্রম।

এসময় শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির রেখে যাওয়া খাদ্য ঘাটতির পরও, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় বিদেশিদের কাছে হাত পাতার দিন ফুরিয়েছে বাংলাদেশের।

সমাজে নানা সময়ই শিশুরা সমাজে হয়রানির শিকার হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে প্রতিকারের উপায় জানা না থাকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মিলছে না সুবিচার।

এবার সমাজসেবা অধিদপ্তর ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় চালু হলো শিশুদের জন্য চাইল্ড হেল্পলাইন প্রকল্প। শুরুতে কয়েকটি উপজেলাকে আওতায় এনে প্রকল্পের সূচনা হলেও এখন সারাদেশের শিশুরা ১-০-৯-৮ নাম্বারে কল করে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারবে। মিলবে প্রতিকারও।

বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স করে হেল্প লাইনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিশুদের সুরক্ষা, বিকাশ ও নিরাপত্তায় কাজ করবে এ সুবিধা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই হেল্পলাইন উদ্বোধন করলাম। যারা এখানে কাজ করবেন, তারা সচেতন থাকবেন। আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করব, এই শিশুদের কীভাবে সাহায্য করা যায়। যখনই কোনো শিশু বিপদে পড়বে, তারা এখানে ফোন করে সাহায্য পাবে। যারা অপরাধ করবে তারাও ভয় পাবে।’

এরপর প্রধানমন্ত্রী মংলায় ৫০ হাজার মেট্রিকটন শস্য ধারণ ক্ষমতার সাইলো কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন। জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ৪২ একর জমির ওপর নির্মিত এ সাইলোর ফলে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে আঞ্চলিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মংলা বন্দরের স্বয়ংক্রিয় সুবিধা সরাসরি কাজে লাগানো যাবে।

একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন মংলা ঘষিয়াখালী নৌ চ্যানেল উন্মুক্তকরণ প্রকল্প। সুন্দরবনকে দখল আর দূষণের হাত থেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে শ্যালা নদীতে নৌ চলাচল বন্ধ করতেই এ চ্যানেল খননের কাজ শুরু হয়। ভারত বাংলাদেশ নৌ প্রটোকলের অংশ এ চ্যানেলটি খননের ফলে এখন দূরত্ব কমে এসেছে ৮৪ কিলোমিটার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে আমরা পাওয়ার প্ল্যান্ট করছি। সেটা নিয়ে তারা কেঁদে মরেন। ঘষিয়াখালী চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হলো। এর সঙ্গে সংযুক্ত ২শ’ ৩৪টি খালের মুখ বন্ধ করে চিংড়ি চাষ করা হলো। বন্যপ্রাণীর অভয়াশ্রম নষ্ট হলো। এসব নিয়ে আমাদের পরিবেশবিদদের কখনও একটু টু শব্দও করতে শুনিনি। তাদের কোনো কান্নাকাটিও শুনিনি, কোনো আন্দোলনও শুনিনি। কেউ কোনো কথাও বলেননি।’

সুন্দরবন রক্ষার পাশাপাশি একই সময়ে কোটি টাকার জ্বালানি সাশ্রয় হবে বলেও আশা করা হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451