লম্বা বিরতির পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডে স্কোয়াডে ফিরেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ২০১৯ সালের জুলাইয়ের পর থেকে জাতীয় দলে দেখা যায়নি তাঁকে। এবার সাকিব আল হাসান না থাকায় বদলি স্পিনিং অলরাউন্ডারকে হিসেবে সৈকত উপযুক্ত। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানালেন, অলরাউন্ডার বলেই ব্যাকআপ হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে সৈকতকে।
আজ শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। দলে সৈকত ছাড়াও আছেন পেসার আল আমিন হোসেন ও বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। এ ছাড়া কোনো চমক নেই।
দীর্ঘদিন পর সৈকতের ফেরা নিয়ে কক্সবাজারে লিজেন্ডস চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খেলা শেষে সাংবাদিকদের নান্নু বলেন, ‘সৈকতকে নেওয়া হয়েছে ব্যাকআপ খেলোয়াড় হিসেবে। যেহেতু ব্যাটিং বোলিং পারে, অলরাউন্ডার। টিম ম্যানেজমেন্ট যদি মনে করে, খেলাবে। আমরা পুল বড় করতে চাই। তিন ফরম্যাটেই অনেক খেলা আছে। যেহেতু ঘরোয়া ক্রিকেট পুরোপুরি শুরু করতে পারিনি। আশা করছি নিউজিল্যান্ডে ভালো ক্রিকেট খেলব।’
সাকিবের পরিবর্তে তাইজুল ইসলামকে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নেওয়া হয়েছে নাসুম আহমেদকে। তাইজুলের বাদ পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আমরা টেস্ট ক্রিকেটে এখন তাইজুলকে বেশি খেলানোর চিন্তাভাবনা করছি। নাসুমকে তো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ভাবনায় রেখেছি। ঘরোয়াতেও ওর পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো। আশা করছি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নাসুম নিজেকে মেলে ধরতে পারবে।’
প্রধান নির্বাচক আরো বলেন, ‘করোনার জন্য একটু বড় স্কোয়াড দিতে হয়। ওখানে কোয়ারেন্টিন শেষ করে ক্যাম্প যখন শুরু হবে, তখন সব খেলোয়াড়ের ফিট থাকার ব্যাপার আছে। এজন্য স্কোয়াড বড় করেছি। কেউ যদি চোটে পড়ে বা কারো কোনো সমস্যা হলে নতুন করে কাউকে ওই সময় নেওয়া কঠিন। ওরা যে সিস্টেম করেছে, তাতে কেউ আসতে বা যেতে পারবে না। এখন যারা যাবে, তাদের একসঙ্গেই আসতে হবে।’
এ ছাড়াও সিরিজে ভালো করার প্রত্যাশা নিয়ে নান্নু বলেন, ‘এতদিন পর ফিরেও আমরা ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভালো একটি সিরিজ খেলে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছি। এটা ধরে রাখলে নিউজিল্যান্ডেও ভালো করা সম্ভব।’
আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। সফরে বিশ্বকাপ সুপার লিগের অধীনে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
কদিন আগে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের সিরিজের সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। আগের সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৩ মার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল ওয়ানডে সিরিজ। এখন শুরু হবে ২০ মার্চ থেকে। সিরিজের পরের দুই ওয়ানডে হবে ২৩ ও ২৬ মার্চ। সূচি বদলালেও আগের ভেন্যুতেই হবে খেলা। সিরিজের প্রথম ওয়ানডে হবে ডানেডিনে, দ্বিতীয়টি হবে ক্রাইস্টচার্চে আর শেষটি হবে ওয়েলিংটনে।
এই ক্রাইস্টচার্চেই সবশেষ নিউজিল্যান্ড সফরে খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। ওই টেস্টের আগে ক্রাইস্টচার্চের একটি মসজিদে হামলা হলে টেস্ট সিরিজের মাঝপথে দেশে ফিরে আসে বাংলাদেশ দল।
আসন্ন সফরে ২৮ মার্চ থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সিরিজের পরের দুটি টি-টোয়েন্টি হবে ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল। প্রথম ম্যাচটি হবে হ্যামিল্টনে, দ্বিতীয়টি নেপিয়ারে, শেষটি অকল্যান্ডে।