চিঠি দিয়ে মমতাময়ী মাকে দেখতে আসতে না পারলেও, দুর্যোগকালে বীরের মতো দায়িত্বপালন করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করে অন্তিম শয়ানের আগে মমতাময়ী মায়ের কোলে ফিরল ফায়ারম্যান সোহেল রানা।
হতভাগিনী মায়ের চোখের জল আর আকাশভাঙ্গা বৃষ্টির জলে কেঁপে ওঠল চিরচেনা প্রাণ প্রকৃতি। তীব্র ঝড়োহাওয়া আর বৃষ্টির মধ্যেই মৃত্যুঞ্জয়ী ফায়ার সার্ভিস কর্মী সোহেলের মরদেহ তার নিজ বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার চৌ-গাঙ্গা ইউনিয়নের কেরুয়ালা গ্রামে পৌঁছে।
মা মাটি মানুষের বুকফাটা কান্নার জল আর অঝোর বৃষ্টির কোরাস গভীর শোকের ছয়ায় ঢেকে দেয় ছায়া সুনিবিড় গ্রামটিকে। এর মাঝেও ছিল ভিন্ন রকম আত্মতৃপ্তি ও আত্মোপলব্ধিসূচক কথামালার সগর্ব উচ্চারণ, এ মৃত্যু বীরের, এ মৃত্যু শহীদের। স্বজন, শুভার্থী ও এলাকাবাসীর মুখে মুখে উচ্চারিত এ ধরনের বক্তব্য ফায়ার সার্ভিস জওয়ানদের উজ্জীবিত করে।
মঙ্গলবার ঢাকায় জানাযা ও আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার প্রিয় জন্মভূমি কিশোরগঞ্জের চৌগাংগার দাখিল মাদ্রাসা মাঠে বাদ আসর দ্বিতীয় ও শেষ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। হাফেজ মাওলানা রোমন আহমেদ জানাজা পড়ান ও দোয়া পরিচালনা করেন।
জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম,ইটনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান, ইটনা থানার ওসি মুর্শেদ জামান, জেলা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রাজধর মিয়া এবং স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসী এতে অংশ নেন। ফায়ার সার্ভিসের সতীর্থ বন্ধুরাও গার্ড অব অনার জানিয়ে চোখের জলে বিদায় দেন কর্মবীর সোহেল রানাকে।