শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

ভালুকায় সংরক্ষিত বনের ভিতরে কয়লা কারখানার সন্ধান

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১৮
  • ৩৩৪ বার পড়া হয়েছে

আরিফুল ইসলাম(আরিফ) ময়মনসিংহের :- ভালুকায় সংরক্ষিত বনের ভিতরে কয়লা কারখানার সন্ধান। ভালুকা উপজেলার উথুরা রেঞ্জের চামিয়াদী বাজারের দুই পাশে সংরক্ষিত বনের ভেতরে দুটি কয়লা কারখানা সন্ধান পাওয়া গেছে।এ সব কারখানায় অবাধে শাল-গজারিসহ বনের বিভিন্ন কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছে। এতে সংরক্ষিত বনের গজারি গাছ, প্রাকৃতিক বন এবং সামাজিক বনায়ন উজাড়ের পাশাপাশি কালো ধোঁয়ায় আ আশপাশের পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এলাকবাসীর অভিযোগ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভালুকা উপজেলার চামিয়াদী বাজারের পূর্ব পাশে একটি কয়লা কারখানায় চারটি চুলা রয়েছে। ওই বাজারের দক্ষিণ পাশে অপর একটি কারখানায় পাঁচটি চুলা রয়েছে। দুটি কারখানার মালিক ওই এলাকারই। প্রথমে ৪টি চুলা দিয়ে কয়লা বানানোর কাজ শুরু করে। কাঠের সহজ লভ্যতা ও লাভ জনক হওয়ার পূর্বের কারখানার কিছু অদূরেই অপর একটি পাঁচ চুলা বিশিষ্ট নতুন কারখানা স্থাপন করেন। চুলা গুলো বিশেষ প্রক্রিয়ায় ইট দিয়ে বানানো উপর মাটি দিয়ে প্রলেব দেওয়া ও ধোঁয়া বের হওয়ার জন্য চুলার উপর গর্ত করে রাখা হয়েছে। চামিয়াদী বাজারের চার পাশে লাইসেন্স বিহীন ৭টি করাত কল রয়েছে বলে জানা গেছে। এসব করাত কল থেকে গাজারী কাঠ কেটে কয়লার চুলায় অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে। কারখানার ২টির পাশে গজারি কাঠের স্তুপ দেখা যায়। কারখানার চারপাশে আকাশ মনি গাছের বাগানও রয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা কয়লার কারখানার সন্ধান পেয়ে উথুরা রেঞ্জ অফিসের সদ্য বিদায়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা আরিফুর রহমানকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি তার অফিসের লোকজন নিয়ে চামিয়াদী বাজারের দক্ষিণ পাশের কারখানাটিতে গিয়ে দুটি চুলা সামান্য ফুটো করে দিয়ে চলে আসেন। এবং এতে কোন প্রতিক্রিয়া হয়নি।এ ব্যাপারে কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা হয়নি। কারখানা মালিক পূনঃরায় কারখানা চালু করার চেষ্টা করেছেন। কারখানার শ্রমিক জাহিদুল ইসলাম বলেন , চুলায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করতে সময় লাগে ১৪-১৫দিন। একটি চুলায় ত্রিশ বস্তা কয়লা হয়। প্রতি বস্তা কয়লার দাম ৮/৯শত টাকা।কারখানা মালিক আব্দুল কাদেরের মোঠো ফোনে জানান, আমি গাজারী কাঠ পোড়াইনা। বিভিন্ন স’মিলের কাঠের কাটা অংশ দিয়ে কয়লা বানাই। উথুরা বিট কর্মকর্তা রথিন্দ্র কিশোর রায় বলেন,গজারি কাঠ জব্দ করে নিয়ে আসা হয়েছে। আবার বেশি করে জনবল নিয়ে অভিযান চালিয়ে সব গুলো চুলা ভেঙ্গে কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে। এ ঘটনায় অদ্যাবধি কারাখানার মালিকের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা হয়নি। ময়মনসিংহ দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) প্রাণতোষ কুমার মোঠো ফোনে বলেন,বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451