অনলাইন ডেস্কঃ
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সামনে একটি লরির চাপায় নিহত হয়েছে সিএনজির যাত্রী মা-ছেলেসহ তিন জন। আহত হয়েছে আরো ২ জন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিপদজনক ‘মিডিয়ান গ্যাপ’ বা ইউটার্নের কারণে শুক্রবার সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় লরিটি উল্টে আরো দুইটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা উপর পড়ে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে রয়েছে বিপদজনক ‘মিডিয়ান গ্যাপ’ বা ইউটার্ণ। যথাযথভাবে রোডমার্ক করা না থাকায় দ্রুতগামী যান এসব ইউটার্ন সম্পর্কে জ্ঞাত থাকে না। ফলে প্রায় এই সব ইউটার্নে দুর্ঘটনা ঘটছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এমনই একটি ‘মিডিয়ান গ্যাপ’ বা ইউটার্ন দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিল কুমিল্লার ধনাইতরী থেকে বরুড়াগামী একটি সিএনজি। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সামনের এই ‘মিডিয়ান গ্যাপ’ দিয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী লরি চাপা দেয় ঐ সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হন কুমিল্লার ধনাইতরী ইকরাম হোসেনর স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (২৫) ও তার দেড় বছরের ছেলে আরাফাত হোসেন।
দুর্ঘটনায় আহত হন সিএনজি চালক উত্তর গোপাল নগরের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে মনির হোসেনসহ তিন জন। এদেরকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে মনির হোসেন মারা যান।
দুঘটনার কারণে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলামসহ মহাসড়ক পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে।
স্থানীয় করিম উল্লাহ জানান, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যেসব ‘মিডিয়ান গ্যাপ’ রয়েছে সে ব্যাপারে চালকদের সতর্ক করার বিষয়ে কোন নির্দেশনা নেই। ‘মিডিয়ান গ্যাপ’গুলোর খুব কাছে বোর্ডে লেখা আছে ‘মিডিয়ান গ্যাপ’। এ সময় কোন দ্রুতগামি যান তা দেখতে দেখতে ‘মিডিয়ান গ্যাপ’ পার হয়ে যায়। অথচ অনেক দুর থেকে নির্দেশনা দিলে চালকরা বুঝতে পারতেন সামনে ‘মিডিয়ান গ্যাপ’ রয়েছে। তারা সতর্ক হতেন। তাছাড়া রাস্তা ‘রোড মার্কিং’ও ঠিক মতো নেই। অনেক জায়গায় তো নেই।