শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন

এক লিটনের পরিবর্তে আরেক লিটন কারাগারে, তদন্তের নির্দেশ

অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২২৫ বার পড়া হয়েছে

দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি পলাতক লিটনের পরিবর্তে নিরপরাধ(!) লিটনের কারাবন্দি থাকার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারককে দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আদেশ দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

লিটনের মুক্তির জন্য কারাবন্দি লিটন এবং মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) করা এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত। রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, ইয়াদিয়া জামান ও মো. শাহিনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।

রাজধানীর পল্টন থানার একটি মামলায় দুই বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে লিটনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, মূল আসামির পরিবর্তে নিরপরাধ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে ‘শুধু নাম-ঠিকানা মিলে জেল খাটছেন দিনমজুর’ শিরোনামে গত ২২ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন যুক্ত করে নিরপরাধ লিটনের মুক্তি চেয়ে গত ২৪ আগস্ট রিট আবেদন করা হয়। আবেদনে লিটনের পরিচয় নিশ্চিতকরণে তাকে সশরীরে অথবা ভার্চুয়ালি হাইকোর্টে হাজির করা, তাৎক্ষণিক মুক্তি দেওয়া এবং তার আটকাদেশ অবৈধ ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত আসামি আর কারাবন্দি লিটনের পিতার নাম, গ্রাম-সবই এক। তবে দাদার নাম ও বয়স ভিন্ন। মামলার নথি অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত লিটনের বর্তমান বয়স ৪১ বছর। আর কারাবন্দি লিটনের বয়স এখন ৩০ বছর। এ ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত লিটনের পিতা মারা গেছেন ৩০ বছর আগে। আর বন্দি লিটনের পিতা মারা গেছেন ১০ বছর আগে।

অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান জানান, সাজাপ্রাপ্ত লিটনের দাদার নাম আবুল হক। আর কারাবন্দি লিটনের দাদার নাম হাবি দরবেশ।

ভারত ও পাকিস্তানের তৈরি আমদানি নিষিদ্ধ চেতনানাশক ট্যাবলেটসহ লিটন, শামীম ও আরশাদ মিয়াকে ২০০৯ সালের ২৮ জুন পল্টন থানার আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা হয়। পরে তারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে আত্মগোপন করে। তবে এই মামলায় বিচার শেষে ২০১৪ সালের ২২ অক্টোবর ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ আসামিদের দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এই রায়ের পর গত বছরের ৭ ডিসেম্বর লিটনকে (নিরপরাধ!) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451