রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

খুলনা ও চট্টগ্রামে পাটকল শ্রমিকদের প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৯
  • ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে

মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ ১১ দফা দাবিতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা। বুধবার সকাল আটটা থেকে উৎপাদন বন্ধ রেখে নিজ নিজ মিলগেটে ওই প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেন তারা। একই দাবিতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন চট্টগ্রামের আমিন জুট মিলের শ্রমিকরা। বুধবার সকাল আটটা থেকে আমিন জুট মিলের ফটকের পাশে প্রতীকী অনশন শুরু করেন শতাধিক শ্রমিক। বিকাল চারটা পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলে।

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ডাকে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এর আগে গত ২৩ নভেম্বর খুলনায় নিজ নিজ মিলগেটে সভা করে ছয় দিনের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন শ্রমিক নেতারা। ওই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৫ নভেম্বর শ্রমিকেরা ভুখা মিছিল করেন।

খুলনা অঞ্চলে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল আছে নয়টি। এর মধ্যে খুলনায় আছে সাতটি ও যশোরে দুটি। বুধবার ক্রিসেন্ট, পস্নাটিনাম, দৌলতপুর, খালিশপুর, দিঘলিয়া, আলীম, ইস্টার্ন, কার্পেটিং ও জেজেআই জুট মিলের শ্রমিকরা কর্মস্থলে না গিয়ে মিলগেটে সমবেত হন। সেখানে শ্রমিকরা আলাদাভাবে মূল ফটকের সামনে অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেন। কর্মসূচি চলাকালে মিলগেটে পৃথক সমাবেশ হয়।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ- নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ সরদার, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন, পস্নাটিনাম মিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা সারমিন, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, খালিশপুর জুট মিলের সিবিএ সভাপতি আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম শেখসহ সিবিএ-নন সিবিএ নেতারা।

অন্যদিকে চট্টগ্রামের আমিন জুট মিলের প্রতীকী অনশন কর্মসূচির সমাবেশে বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের সদস্যসচিব আরিফুর রহমান বলেন, ‘২০১৫ সালে ঘোষিত মজুরি কমিশন এখনো বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশন বা বিজেএমসির কারখানায় বাস্তবায়ন করা হয়নি। আবার আমরা যে নূ্যনতম মজুরি পাই, তাও ১০ সপ্তাহ পর্যন্ত বকেয়া।’

আমিন জুট মিল শ্রমিক-কর্মচারী পরিষদের দপ্তর সম্পাদক কামাল উদ্দিন বুধবার সকালে বলেন, ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে তারা ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছেন। দাবি বাস্তবায়িত না হলে আগামী ৩ ডিসেম্বর পাটকলে ধর্মঘট পালন করা হবে।

শ্রমিকদের ১১ দফা দাবির মধ্যে অন্যান্য দাবিগুলো হলো মিলে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপি) ব্যবস্থা বন্ধ করা, পিচরেট শ্রমিকদের গড় মজুরি দেওয়া, বকেয়া থাকা অবসর ও মৃতু্য বিমার টাকা পরিশোধ, নিজ নিজ মিলের পিএফ ফান্ডের টাকা আবার ওই ফান্ডে ফেরত আনা, মৃতু্যজনিত শ্রমিকদের বিমা দাবি ৩৬ মাসের হিসাবে পরিশোধ, বরখাস্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পুনর্বহাল, শ্রম আদালত ও আপিল ট্রাইবু্যনালের পুনর্বহাল, কারখানার আধুনিকায়ন প্রভৃতি।

খুলনা ও চট্টগ্রামের অনশন কর্মসূচি থেকে শ্রমিক নেতারা অবিলম্বে এসব দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং কর্মসূচি চালিয়ে নেওয়ার জন্য শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451