সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

মান বাঁচানোর শঙ্কায় শ্রীলঙ্কা, কার্ডিফে বৃষ্টি

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০১৯
  • ৩০৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ

শ্রীলঙ্কার রান ছিল ২০ ওভারে এক উইকেটে ১৪২ রান। ২০ ওভারের পর শুরু হল নবীর ঝড়। আফগানিস্তানের এই অলরাউন্ডার একে একে তিনটি উইকেট তুলে নেন। ২৩ ওভারে শ্রীলঙ্কার রান ১৪৯; নেই পাঁচটি উইকেট! উইকেট নেওয়ার মিছিলে তখন যোগ দিয়েছেন হামিদ হাসান।

যত সময় গেছে শ্রীলঙ্কা আরো শ্রীহীন হয়েছে। ১৮২ রানে আট উইকেট নেই শ্রীলঙ্কার। খেলা হয়েছে ৩৩ ওভার। এরপরই নামল বৃষ্টি। কার্ডিফের ওই বৃষ্টি আপাতত মান রক্ষা করছে করুনারত্নেদের। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ আছে।

নবীর তোপে ২৭ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার রান দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৬৬। করুণারত্নে, কুশাল পেরেরা, থিরিমান্নে ও উদানা ছাড়া কেউ দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। বৃষ্টির আগ পর্যন্ত এটাই ছিল চিত্র। নবী ও হামিদ মিলে শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেন। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি তুলে নেন রশিদ খান। দেখে শুনে খেলতে থাকা কুশাল পেরেরা রশিদের বলে শেহজাদকে ক্যাচ দেন। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে পেরেরা করেন ৭৮ রান।

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেয়েছে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর কথাই জানান অধিনায়ক করুনারত্নে। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে যাওয়ার পর অধিনায়ককে আশাবাদী করে তোলেন ব্যাটসম্যানরা। ২০ ওভারেই ১৪২ তুলে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিতও দেন তাঁরা।

তবে ২২তম ওভারেই আঘাত করেন আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। ২০ ওভারে এক উইকেটে ১৪২ রানের শ্রীলঙ্কার স্কোর, ২৩ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৪৯ রান। চারটি উইকেটেই নিয়েছেন নবী। ২৩তম ওভারে ধনঞ্জয় ডি সিলভাকেও ফিরিয়ে দেন হামিদ হাসান।

নিজের প্রথম পাঁচ ওভারে ১৫ রান দিয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন নবী।

কুশল পেরেরাকে নিয়ে ওপেন করেন অধিনায়ক করুনারত্নে। ৪৫ বলে ৩০ রান করে নবীর বলে নজিবুল্লাহকে ক্যাচ দেন তিনি। তবে ওয়ান ডাউনে নামা থিরিমান্নেকে নিয়ে বড় সংগ্রহের দিকে চোখ রাখেন পেরেরা। এরই মধ্যে অর্ধশতক করে ফেলেন তিনি। তবে ২০ ওভারের পরই থিরিমান্নেকে বোল্ড করেন নবী। ৩৪ বলে ২৫ রানে আউট হন তিনি।

আফগানিস্তানের বোলারদের মধ্যে নবীই সমীহ জাগানো বল করছেন। থিরিমান্নের পর নামা কুশাল মেন্ডিসকে মাত্র দুই রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান নবী। তাঁর স্পিনে স্লিপে থাকা রহমত শাহকে ক্যাচ দেন মেন্ডিস। মেন্ডিসের পর আসা অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুসকেও ফেরান নবী। সেই রহমত শাহের কাছে ক্যাচ দেন তিনি।

প্রথম ২২ ওভারে শ্রীলঙ্কার পড়ে যাওয়া চারটি উইকেটই নিয়েছেন নবী। রশিদ খান নিজের প্রথম তিন ওভারে কোনো উইকেট পাননি।

আইসিসির ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে আছে শ্রীলঙ্কা, ১০ নম্বরে আফগানিস্তান। বিশ্বকাপে ১০টি দলই অংশ নিচ্ছে। ওই হিসেবে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিচের দিকে ওই দুই দলের অবস্থান। ওই দুই দলই নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কার্ডিফে মুখোমুখি হচ্ছে। দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে পরাজিত হয়েছে।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক গুলবদিন।

প্রথম ম্যাচে দুই দলই শোচনীয়ভাবে হেরে গেছে। নিউজিল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার কাছে আট উইকেটে হেরেছে দ্বিতীয়বার বিশ্ব আসরে খেলতে আসা আফগানিস্তান।

শুরুর হোঁচটটা সামলাতে চায় শ্রীলঙ্কা। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপজয়ীদের বর্তমান অবস্থান বেশ নাজুক। ঘুরে দাঁড়াতে চাইলে আজকের ম্যাচের জয়ের বিকল্প নেই। লাসিথ মালিঙ্গা, সুরঙ্গা লাকমলের মতো অভিজ্ঞদের দিকে তাকিয়ে থাকবে শ্রীলঙ্কা।

অন্যদিকে তরুণদের নিয়ে এই বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেতে মুখিয়ে আছে আফগানিস্তান। রশিদ খান আর মোহাম্মদ নবীই আফগানিস্তানের মূল অস্ত্র।

বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত একবারই মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। গত বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে ছয় উইকেটে পরাজিত করে শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করে ২৩২ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। মালিঙ্গা নেন তিন উইকেট। জবাবে ছয় উইকেটে ২৩৬ রান করে শ্রীলঙ্কা। মাহেলা জয়াবর্ধনে ওই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন।

শ্রীলঙ্কার একাদশে আছেন : দিমুখ করুনারত্নে, লাহিরু থিরিমান্নে, কুশাল পেরেরা, কুশল মেন্ডিস,অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, ধনঞ্জয় ডি সিলভা, থিসারা পেরেরা, ইসুরু উদানা, সুরাঙ্গা লাকমল, নুয়ান প্রদীপ ও লাসিথ মালিঙ্গা।

আফগানিস্তান একাদশে আছেন : মোহাম্মদ শেহজাদ, হযরতুল্লাহ জাজাই, রহমত শাহ, হাসমুতুল্লাহ শাহিদি, নজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, গুলবদিন নাইব, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, হামিদ হাসান ও দাওলাত জাদরান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451