শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২০ অপরাহ্ন

ব্যর্থতা স্বীকার করলেন ডিএমপি কমিশনার

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০১৯
  • ২৫১ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ 

রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থীকে হত্যাকারী সুপ্রভাত পরিবহনের বাসটির কোনো রুট পারমিট ছিল না।

আজ বৃহস্পতিবার গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে ডিএমপির ট্রাফিক পূর্ব বিভাগ আয়োজিত ট্রাফিক শৃঙ্খলা ও সচেতনতার ওপর এক অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি কারোর ঘাড়ে দোষ দিব না। কিন্তু ওভারঅল বলব ঢাকা শহরের পরিবহন ব্যবস্থার শৃঙ্খলা আনতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি এবং এই ব্যর্থতার দায়ভার আমি যাদের কথা বললাম, যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত, কেউ আমরা এড়াতে পারি না। ইমিডিয়েট পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য আমরা যদি বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ না নেই তাহলে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ করা কঠিন হবে।’

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী আবরারের মৃত্যুতে প্রতীয়মান হয় যে আমরা সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারিনি। এটা আমাদের সবার ব্যর্থতা। সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্বপালন করলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটত না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব, এনা পরিবহনের মালিক ও আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে চাই, যারা অন্যায় করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এতে করে সারা বাংলাদেশে কোনো ধর্মঘট হবে না। এ নিয়ে কোনো প্রতিবাদ হবে না। কিন্তু যারা অন্যায় করে না তাদেরও যে পানিশমেন্টের আওতায় আনা হচ্ছে এটি বোধহয় ঠিক হচ্ছে না।’

গত মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর প্রগতি সরণিতে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে সামনে ‘সুপ্রভাত পরিবহনের’ একটি বাস বিইউপির শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীকে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে নতুন করে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, বর্তমানে বাস মালিকরা চালকদের সঙ্গে দৈনিক চুক্তিতে গাড়ি নামান এবং সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে প্রধান কারণ বাসের হেলপাররা। ‘কোনো মালিক চালককে এমন চুক্তিভিত্তিক গাড়ি দিতে পারবে না।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, রংচটা, ফিটনেসবিহীন ও মডেল আউট কোনো গাড়ি যাতে শহরে না চলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান জোরদার করব।’

ডিএমপি প্রধান বলেন, সুপ্রভাত পরিবহনের ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কে চলাচলের অনুমতি ছিল। কিন্তু মালিকরা অবৈধভাবে ঢাকায় এটি পরিচালনা করে। ওই বাসের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের ২৭টি মামলা করেছে পুলিশ।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, জাবালে নূর এবং সুপ্রভাত পরিবহনের রুট পারমিট ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। ওই দুই বাস কোম্পানিকে বৈধতা ও ফিটনেস সম্পর্কিত সব কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু যেসব বাসের ফিটনেস এবং বৈধ কাগজপত্র রয়েছে সেগুলোকেই ঢাকা শহরে চলাচলের অনুমোদন দেওয়া হবে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ না করার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা মহানগরের পুলিশ প্রধান বলেন, এতে লাখ লাখ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। ‘দায়িত্ববান হও, এবং তোমরা ক্লাসে ফিরে যাও ও নিজের কাজে মনোযোগী হও। আমরা চালককে গ্রেপ্তার করেছি এবং বাসটি জব্দ করেছি।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, জেব্রা ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার কারণে সুপ্রভাত পরিবহনের বাসচালকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

 

-সুত্র,এন টিভি অনলাইন

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451