অনলাইন ডেস্ক :
পঞ্চম প্রয়াণ দিবসে বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি মহানায়িকা সুচিত্রা সেনকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করেছে পাবনাবাসী।দিবসটি উপলক্ষে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।এছাড়া সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় পাবনা জেলা প্রশাসন স্মরণসভার আয়োজন করে।সকাল দশটায় সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক ভিটায় তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোমবাতি প্রজ্বালনের মধ্যে দিয়ে কর্মসূচির শুরু করেন জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন। এরপর সুচিত্রা সেন সংগ্রহশালা থেকে একটি পদযাত্রা তার স্মৃতিবিজড়িত বিদ্যাপীঠ পাবনা টাউন গার্লস হাইস্কুলে গিয়ে শেষ হয়। এতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। পদযাত্রা শেষে স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ-সভা।এতে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আতিয়ুর রহমান, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ, সম্পাদক আখিঁনুর ইসলাম রেমন, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস, সংগঠনের সহ-সভাপতি ডা. রাম দুলাল ভৌমিক ও সদস্য সচিব নরেশ চন্দ্র মধু। পরে স্মরণসভায় সুচিত্রা সেন অভিনীত চলচ্চিত্রের গান পরিবেশন করা হয়। এদিকে সপ্তসুর নামের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন পৃথকভাবে শহরের অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে স্মরণ সভার আয়োজন করে।সুচিত্রা সেনের জন্ম ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল। পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে তার পৈতৃক বাড়ি। এই বাড়িতে তিনি বাবা-মা ও ভাইবোনদের সঙ্গে শৈশব-কৈশোর কাটিয়েছেন। ১৯৬০ সালে তার বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত পরিবার নিয়ে কলকাতায় চলে যান।এর আগে ১৯৪৭ সালে কলকাতার বিশিষ্ট বাঙালি শিল্পপতি আদিনাথ সেনের ছেলে দীবানাথ সেনের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তাদের ঘরে একমাত্র সন্তান মুনমুন সেন।১৯৫২ সালে সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র জগতে প্রথম পা রাখেন। প্রথম ছবি করেন শেষ কোথায়। তবে ছবিটি আর মুক্তি পায়নি। এরপর ১৯৫৩ সালে মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে সাড়ে চুয়াত্তর ছবি করে সাড়া ফেলে দেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে। সুচিত্রা সেন বাংলা ও হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন। তার অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি দেবদাস (১৯৫৫)। সুচিত্রা সেন ১৯৭৮ সালে প্রণয় পাশা ছবি করার পর লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। এরপর থেকে তিনি আর জনসমক্ষে আসেননি।