সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

নোয়াখালীতে সংঘর্ষ, খোকনসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ৪৯৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক ঃ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় নোয়াখালী-১  (চাটখিল-সোনাইমুড়ি) আসনের বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, তাঁর ব্যক্তিগত সচিব মো. রুবেল ও এক ছাত্রদল কর্মী আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া ছাত্রদল মো. সোহেল ও আরো ১০ জন আহত ১০ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ১০টার দিকে সোনাইমুড়ি কলেজ মাঠে নোয়াখালী-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম ইব্রাহিমের পক্ষে একটি নির্বাচনী সমাবেশ হয়। সকাল থেকে সোনাইমুড়ির বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচার চালান তিনি। এ দিকে একই স্থানে বিকেল ৩টায়  বিএনপির প্রার্থী ও দলের যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের সমর্থনেও একটি নির্বাচনী সমাবেশ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী সমাবেশটি শেষ হয় বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের পরে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে ও এর আশেপাশে সমবেত হতে থাকেন। একসময় উভয়পক্ষের লোকজন তাদের প্রার্থীদের সমর্থনে মিছিল করতে থাকেন। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিনের একটি গাড়িসহ কয়েকটি গাড়ি, বাজারের কয়েকটি ওষুধের দোকান ভাঙচুর করা হয় এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় সোনাইমুড়ি বাজার দখলে নেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।

সোনাইমুড়ী পৌরসভার মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি মোতাহের হোসেন মানিক অভিযোগ করেন, ঘটনার সময় পুলিশ অতর্কিতভাবে এসে বিএনপির লোকজনের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ গুলি চালানো শুরু করেন। এতে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর দ্রুত তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. আজিজ বলেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হলেও তাঁরা আশঙ্কামুক্ত।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওসি আবদুল মজিদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451