রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

তৃণমূল আওয়ামী লীগ লক্ষ্মীপুর-২ আসনে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে চায়।

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৮
  • ৩১২ বার পড়া হয়েছে
জয়নাল আবেদীন, লক্ষ্মীপু।।

লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনে এবার জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিতে নারাজ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। আগামী নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে এমপি হিসেবে দেখতে চান তারা। এই আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বলছেন, আওয়ামী লীগের যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তার পক্ষে একাট্টা হয়ে কাজ করবেন সবাই। কিন্তু আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কাউকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে রাজি নন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

এমন প্রেক্ষাপটে নৌকা প্রতীক নিয়ে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন কুয়েত আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল। ভোটার ও নেতাকর্মীদের অনেকেই মনে করেন, এ আসনটি পুনরুদ্ধারে পাপুলের মতো শিক্ষিত ও মানবহিতৈষী প্রার্থীর প্রয়োজন আছে। এমপি হলে এলাকার মানুষ তাকে পাশে পাবে। পাপুলের গণসংযোগে দলের নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন।

তার সমর্থকদের দাবি, এই আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে পাপুলের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি সর্বমহলে স্বতন্ত্র ইমেজ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি প্রার্থী হলে

দলের পাশাপাশি নিরপেক্ষ ভোটারসহ বিএনপি ঘরানার লোকজনের ভোটও তিনি পাবেন। কারণ তার সমাজহিতৈষী কর্মকাণ্ডে অগণিত মানুষ উপকৃত হয়েছেন। তাছাড়া ভোটারদের কাছে একটি বিষয় স্পষ্ট, কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল নিজের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন না। তিনি এমপি নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করবেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন খোকন বলেন, গত নির্বাচনে এ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। তাই আগামী নির্বাচনে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে হলে কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার মালিকানাধীন মারাফি কুয়েতিয়া গ্রুপ অব কোম্পানিতে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি কাজ করেন। তিনি প্রতিবছর মোটা অঙ্কের রেমিট্যান্স দেশে আনেন।

খোকন আরও বলেন, গত পাঁচ বছরে এই আসনে আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী হয়েছে। উন্নয়ন হয়েছে ব্যাপক। গত নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেওয়া হলেও এবার কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলেও তিনি জানান। ১৮ জন দলীয় মনোনয়নপত্র কিনলেও প্রধানমন্ত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবাই নৌকার পক্ষে কাজ করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451