বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এবার সুগার-ফ্রি পেয়ারা!

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৮
  • ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে

ঢাকাঃ 

এটা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুখবরই বটে। হ্যাঁ, এবার অনেকের প্রিয় ফল পেয়ারা চিনিমুক্ত হয়ে ফলবে। সাধারণদের জন্য এটা হয়তো বিস্বাদকর হতে পারে, হতে পারে অনাদরণীয় কিন্তু একজন ডায়াবেটিস আক্রান্তের কাছে এটা আদরণীয়-ই হবে।

হয়তো চিনিহীনতার কারণে একটু কেমন কেমন লাগবে- কিন্তু  খেতে তো পারছেন প্রিয় ফল পেয়ারা! এটাই কম কিসে! অন্তত খুঁজতে তো হবে না সুগারফ্রি পেয়ারার জুস!

এমন সুখবরই দিয়েছেন ভারতীয় কৃষি বিজ্ঞানীরা। তারা থাই প্রজাতীর পেয়ারা গাছে এই নয়া কৌশলের প্রয়োগে সাফল্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এই পেয়ারা ওজনে চিনি তথা মিষ্টতাযুক্ত পেয়ারার চেয়ে কিছুটা বেশি হয় বলে খবর দিয়েছে হিন্দি সংবাদ মাধ্যম জাগরন.কম।

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরের কৃষি বিশ্বাবিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী হরিসিংহ ঠাকুর স্থানীয় কৃষক রাজেশ বাগ্গারের ক্ষেত্রে প্রায় আড়াই হাজার এমন পেয়ারা গাছ লাগিয়েছেন। এসব গাছে উৎপাদিত পেয়ারা ডায়াবেটিক রোগীদের খাওয়ানো হয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে। ফলগুলোতে চিনির উপস্থিতি এবং তাদের স্বাদ সম্পর্কেও তথ্য নেওয়া হয় ওইসব রোগীদের কাছ থেকে।

ইতিবাচক ফল জানার পর এখন এসব পেয়ারা বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবার প্রকাশিত খবরে জাগরণ জানিয়েছে।

হরিসিংহ ঠাকুর জানান, একই হাছে স্বাভাবিক এবং চিনিমুক্ত পেয়ারা উৎপাদন সম্ভব। এর জন্য বিশেষ কৌশল নিতে হয়। যে পেয়ারাগুলো সুগার-ফ্রি সেগুলোকে সূর্যের কিরণ থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। এর জন্য শুরুতেই প্লাস্টিক ফোমের আচ্ছাদনে মুড়ে ফেলতে হয় ফলগুলোকে।

দ্বিতীয় ধাপে এসে পেয়ারাগুলো পলিথিনে মোড়ানো হয় যার নিচের অংশ থাকে উন্মুক্ত। তৃতীয় পর্যায়ে কাগজ দিয়ে মুড়ে রাখা হয় ফলগুলোকে। প্রসঙ্গত, ফল পাকা এবং এর বিশেষ স্বাদের পেছনে সূর্যকিরণের ভূমিকা রয়েছে।

এই পেয়ারার গাছে এক সিজনে প্রায় ৮০ কিলো পেয়ারা ফলে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। একেকটি পেয়ারার ওজন সোয়া কেজি পর্যন্ত হয়। সাধারণ পেয়ারা ৩/৪ দিনে নষ্ট হতে থাকে কিন্তু এই পেয়ারাগুলো গাছ থেকে নামানোর পর ২০/২২ দিন পর্যন্ত খাওয়ার উপযোগী থাকে।

ক্যান্সার, হৃৎরোগ ঠেকায় পেয়ারা
পেয়ারা মানবদেহে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি করে। এছাড়া এতে আছে লাইকোপিন, কোয়েরসেটিন, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি (কমলালেবুর চেয়ে চার গুণ বেশি)। শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে ক্যান্সার কোষের বিকাশকে বাধা দেয় পেয়ারার এসব উপদান। বিশেষ করে প্রস্টেট (মূত্রস্থলীর গ্রীবাসংলগ্ন গ্রন্থিবিশেষ) ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সারের বিকাশ রোধ ও প্রকোপ কমাতে কাজ করে পেয়ারার উপাদানসমূহ।

এছাড়া শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের ভারসাম্যও রক্ষা করে পেয়ারা। এর ফলে উপকৃত হয় আপনার হৃৎপিণ্ড; হাইপার টেনশন রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায়। মোট কথা, হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে পেয়ারা। ফলে ডায়াবেটিস রোগীরা ক্যান্সার ও হৃৎরোগের মোকাবেলায় এখন পাশে পাবেন প্রিয় ফল পেয়ারা।

 

সুত্র, কালের কণ্ঠ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451