শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

কারাগার ভাঙ্গতেই হবে; এর কোন বিকল্প নেই: মির্জা আলমগীর

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬
  • ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মনিরুজ্জামান -ঢাকা ঃ

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইনঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দেশব্যাপী গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি।

সরকার সব দিক থেকে ব্যর্থ হয়ে গণগ্রেফতার করছে বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কর্মদিবসের ৫ দিনের মধ্যে ৩/৪ দিন আমাদের কোর্টে যেতে হয়। কারগার ভাঙ্গতে হবে। গ্রেফতারকৃত আমাদের বন্ধুদের বের করে আনতে হবে। আন্দোলনের কোন বিকল্প কোন পথ নেই। গণতান্ত্রিক আন্দোলনেরমাধ্যমে আমাদের বিজয় অর্জন করতে হবে।

গুপ্তহত্যা, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে সরকারের ব্যর্থতা আড়াল করতেই দেশব্যাপী গণগ্রেফতার অভিযান চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল গত এক সপ্তাহে ১৩ থেকে ১৪ হাজার সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ পুলিশ প্রধান বলেছেন, ১৭৯ জনকে সন্দেহজনক জঙ্গি হিসাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন জাগে বাকীরা কারা? আসলে একটি উদ্দেশ্য সর্ব দিক থেকে ব্যর্থ এই সরকার গুপ্তহত্যা, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনের ব্যর্থতাকে জনদৃষ্টির আড়াল করতেই গণগ্রেফতার চালাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে জঙ্গি দমনের নামে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আইনশৃক্সখলাবাহিনী এখন দেশের রাজা। তারা যখন যা খুশী, যা ইচ্ছা তাই করেন। আইনশৃঙাখলা পরিস্থিথি সম্পূর্ন ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। আজকে আপনি বিচারের জন্য যাবেন সেখানে আপনাকে নিভূতে নিভিত্তে কাঁদতে হবে। সংসদ একটি গৃহপালিত বিরোধী দল নিয়ে এমন একটি বস্তুতে পরিনত করেছে যে খানে কোন জবাবদিহিতা নেই।

সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ নয় বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কোন অধিকার নেই। বাংলাদেশে একেবারে একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের নিয়ন্ত্রনে পড়ে গেছে। আমাদের বিক্ষোভ সমাবেশ করার কথা বাহিরে; সেটাও আমাদের করতে দেওয়া হয় না। গতকাল একটি ইফতার মাহফিল ছিল; সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেটাও করতে দেয়া হয়নি।

বিস্ময় প্রকার করে মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি গণমাধ্যমে এসেছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলছেন যে জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের সরকার সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ভারত আমাদের বন্ধু প্রতীম রাষ্ট্র। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যাশা করি ভারতবর্ষ বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামি মানুষের সঙ্গে থাকবে। কিন্তু তারা সমর্থন করছে সেই সরকারকে যারা দেশের গণতন্ত্রকামি মানুষের ওপর চড়াও হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের আইন শৃক্সখলা পরিস্তিতি ভেঙ্গে পড়েছে। বাংলাদেশ এখন সত্যিকার অর্থে স্বাধীন দেশ নেই। গণতন্ত্র বিপন্ন, মানুষের অধিকার নেই।দেশ এখন একেবারে ফ্যাসিবাদী সরকারের নিয়ন্ত্রণে পড়ে গেছে। সভা,সমাবেশ করতে দেয়না। এমনকি গতকাল একটি ইফতার পার্টিও করতে দেয়নি।

তিনি বলেন, ওরা ( সরকার) যা বলে বলুক; ওদের কথা জনগণ বিশ্বাস করে না। জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপে আছে । তাই আমরা জনগণের কাছে যাই। আমরা সবাই ঐক্যদ্ধ হই। শুধু বিএনপির ঐক্য নয়। জনবিচ্ছিন এই সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিকল্প নেই। সন্ত্রাস দিয়ে আন্দোলনে সফলতা আসেনা। তাই দলের স্বার্থে নয়, দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই চলমান দুঃশাসনের পতন ঘটাতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূইয়া, সহ সাংগাঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী আবুল বাশার, নির্বাহী কমিটির সদস্য মুন্সী আবুল বাসেদ আঞ্জু, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক, যুবদলের সহ সভাপতি আব্দুল খালেক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি লিটন মাহমুদ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451