বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৮ অপরাহ্ন

এপ্রিলে নিম্নচাপ-ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৯
  • ২৪২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ 

এপ্রিল মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক মাসের আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য উঠে আসে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এপ্রিলে দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত দুই থেকে তিন দিন মাঝারী থেকে তীব্র বজ্রসহ কালবৈশাখী হতে পারে। এছাড়া পাঁচ থেকে ছয় দিন হালকা থেকে মাঝারী কালবৈশাখী বা বজ্রঝড় হতে পারে। এছাড়া দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এপ্রিল মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে দুই থেকে তিন দিন তীব্র তাপদাহ হতে পারে। এপ্রিল মাসের শেষের দিকে দেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে।পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এক টি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং অন্যত্র ১-২ টি মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারী (৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপ প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।আবহাওয়া পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে এপ্রিল মাসে ঢাকায় ১৩০ থেকে ১৬৫ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ১৩৫ থেকে ১৭৫ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১৩০ থেকে ১৬৫ মিলিমিটার, সিলেটে ২৬৫ থেকে ৩৪০ মিলিমিটার, রাজশাহী ৭৫ থেকে ৯৫ মিলিমিটার, রংপুর ৮৫ থেকে ১১০ মিলিমিটার, খুলনায় ৬৫ থেকে ৯০ মিলিমিটার, বরিশাল ১২০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে।

বুধবার দুপুর ১২টায় আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস আরটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, আগামী ৭২ ঘণ্টা দেশে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে। বর্তমানে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিকেলের পরপরেই ঢাকা ও তার আশাপাশের এলাকায় ভারি মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। এসময় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।এদিকে এ বছর বজ্রঝড় ও কালবৈশাখী ঝড়ও এগিয়ে এসেছে। এ বছর এ পর্যন্ত বজ্রঝড় ও কালবৈশাখীতে প্রায় অর্ধশত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পুবালি বাতাসের সঙ্গে পশ্চিমা লঘুচাপের মিলনে বজ্রপাত ঘটে। মৌসুমী বায়ুর আগমনের মাসগুলোতে এপ্রিল মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়ে যায়। এ সময় কৃষিকাজ বেশি হওয়ায় এ দেশে প্রাণহানিও বেশি ঘটে। মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে বিকেলবেলা বজ্রপাত হয়। এর পরের সময় সন্ধ্যা ও রাতের বেলায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে।দেশে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে গেল কয়েক মাস ধরে। কেন এমনটি হচ্ছে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আবহাওয়া পরির্বতনের জন্য মূলত দায়ী ভৌগলিক পরিবর্তন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা বেশ বেড়ে যাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে আমরা বিষয়টি দেখছি। ফলে বিশ্বের সব অঞ্চলগুলোর আবহাওয়ার বেশ পরিবর্তন হচ্ছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে শুরু করেছে। আমাদের দেশে বর্তমানে যে সমস্যাটা সৃষ্টি হয়েছে মাটির তাপমাত্রা বেশ বেড়েছে, জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়েছে। এর জন্য পরিবেশ দূষণটাও অনেক ক্ষেত্রে দায়ী, কারণ দূষণ জলীয় বাষ্প বাড়িয়ে দিচ্ছে। যেমন ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে কিন্তু এবার কিন্তু তা দেখা যায়নি। সিস্টেম এলোমেলো হয়ে যাওয়ায় মূলত অনাবৃষ্টি হচ্ছে। ফলে হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি হচ্ছে।পরিত্রাণের কোন উপায় আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু এটা প্রাকৃতিক বিষয় তাই পরিত্রাণের উপায় নেই। বিশ্বব্যাপী বায়ু দুষণের জন্য যেহেতু সমস্যাটি তৈরি সেক্ষেত্রে একা কিছু করা সম্ভব নয়। তবে সচেতনতার পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451